বাংলাদেশে গোলা নিক্ষেপ করলো মায়ানমারের যুদ্ধবিমান

মায়ানমার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে ৮-১০টি নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ সময় সীমান্তে মহড়া দেয় যুদ্ধবিমান।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে মিয়ানমার সীমান্তে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার আকাশে উড়তে দেখা যায়। এ সময় হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান থেকে থেমে থেমে গোলাবর্ষণ করা হয়। এতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ফায়ার করা কয়েকটি গোলা জিরো পয়েন্টে এসে পড়ে। এ সময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক ৮ থেকে ১০টি গোলা ছোড়া হয় এবং হেলিকপ্টার থেকে আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি ফায়ার করতে দেখা যায়।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি প্রতিপক্ষ বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে ৪ রাউন্ড ভারী অস্ত্রের ফায়ার করা হয়। মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্পে ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে মর্টার ফায়ার চলমান রয়েছে বলেও জানা গেছে।এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে গোলাগুলির ঘটনা চলছে। ওদের ফায়ার করা কয়েকটি গোলা সীমান্তের ৩৯-৪০ পিলারের কাছে জিরো পয়েন্টে এসে পড়ছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম বলেন, সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২টি যুদ্ধবিমান ও ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার দেখা যায় এবং এসময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ অগাস্ট দুপুরে মিয়ানমার থেকে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল এসে পড়ে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।

Share on whatsapp
WhatsApp
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on email
Email
Share on telegram
Telegram