বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক জিয়া মুর্খ বলে নিজেরা দুঃখ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া, তার নাই লেখাপড়া, খালেদা জিয়ার দুঃখ, মা ছেলে মূর্খ। তাদের লেখাপড়ার দরকারও নাই।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর ইপিজেড মোড় এলাকায় দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড আ’লীগ আয়োজিত দেশব্যাপী বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সম্মিলনের সময় এসেছে। আবার হুংকার দিচ্ছে। পাকিস্তানের শত্রুরা আবার তারা নৈরাজ্যে নেমেছে। গণতন্ত্রের কথা বলে তারা মাঠে নেমেছে। মানুষ ভয়ভীতি দেখিয়ে, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে তারা রুখে দিতে চায়।’
দেশের মানুষ বিএনপির নৈরাজ্য রুখে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বাংলার মানুষ, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও সেই নৈরাজ্য রুখে দিবে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মত অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে তারা চায় না। বাংলাদেশ বিশ্বে সেরা দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাড়াবে ইনশাআল্লাহ।’
‘আমি আজকে দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, গণতান্ত্রের কথা না বলে গণতান্ত্রিক আচরণ করুন। আমরা এখানে কোনো দল বিভেদ করিনা। আমরা সকলেই সারা বাংলাদেশের মানুষ, আমরা এই দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদে বসবাস করতে চায়।’
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করে বলেন, ‘এভাবে হুংকার দিবেননা, আপনাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে আমরা পৃথিবী থেকে চলে গেছি। আমরা এখন পর্যন্ত এই দুনিয়ায় আছি। আপনারা জনগণের কাছে না গিয়ে রাস্তায় জঙ্গি মিছিল করে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে, দেশের মানুষকে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লুঠা, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার – সেই চিন্তা আল্লাহ কখনো গ্রহণ করবেনা। আপনাদের এই নৈরাজ্য কীভাবে রুখতে হয়, তা আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মী জানে।’
‘আমরা আগামীতেও এই দেশকে উন্নয়নের পথে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালী করে এই দেশকে এগিয়ে নেব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর ওয়াস্তে আমাদের মিসগাইড করবেননা। ১৪ বছর কারো সাথে আমাদের দুটি বাক্য বিনিময় হয়নি। বিএনপি বা অন্যান্য দল, কারো সাথে আমাদের বিভেদ হয়নি। তাই আল্লাহর ওয়াস্তে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেননা।’
বাংলাদেশ উন্নয়নের জন্য একটি সত্য আশ্চর্যে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় অন্য জেলার যারা বাস করে, তারা কর্মমুখী মানুষ। তারা আপনাদের সাথে কোনো ঝামেলায় জড়াতে চায় না৷ তাদের শান্তি বিনষ্ট করবেননা। বাংলাদেশে ১৩ টি কেপিআই সমৃদ্ধ এলাকায় নৈরাজ্য আমরা বরদাস্ত করব না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমরা পৃথিবীর একটি সত্য আশ্চর্যে পরিণত হয়েছি। আমাদের নেত্রী রোল মডেল হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন উদাহরণ হিসেবে পরিচিত হয়েছে।’
আ’লীগ নেতা হাজ্বী মোহাম্মদ আসলাম ও সেলিম আফজালের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইপিজেড থানা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব হারুনর রশিদ, ইপিজেড থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, আকবর হোসেন কবি, ইপিজেড থানা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শারমিন ফারুক সুলতানা।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন,জাবেদ হোসেন,আব্দুর রউফ,আক্তারুল জামান বাবুল, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা,ইপিজেড থানা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক জাহেদ হোসেন,স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মামুনজ্জামান মামুন,লোকমান হাকিম,আক্কাছ উদ্দিন সওদাগর,নেছারমিয়া আজিজ,আয়াসিম আকরাম,মোহাম্মদ হারুন,মোঃ দিদার ও ব্যারিষ্টার সুলতান আহমদ, ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি জাহিদ হোসেন খোকনসহ প্রমুখ।