স্বাধীন ও সার্বভৌম সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের” ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের উদ্দ্যেগে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপত্বি করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্রয়সাঞো চৌধুরী। অনুষ্টান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রুপনা চাকমা কণি।
মঙ্গলবার বিকাল পৌর টাউন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চেতনামঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ, নিহত পরিবারের প্রতি এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে শোক সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা দিয়েছেন। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত তিনি দেখিয়ে গেছেন, তা আমাদের ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে অনুসরণ করার পাশাপাশি কর্মের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।বিশ্বের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একমাত্র নেতা, যিনি জীবনে কখনো অস্বচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করেননি। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন সৎ, রাজনৈতিক জীবনে সাহসী, পারিবারিক জীবনে স্বচ্ছ, জাতীয় জীবনে অত্যন্ত দূরদর্শী এবং আন্তর্জাতিকতার ক্ষেত্রেও ছিলেন ন্যায় পরায়নতার প্রতীক। তিনি আরো বলেন ২০০১-২০২৬ পর্যন্ত ২৪ জন নেতাকর্মী হারিয়েছি সাবেক বিএনপি এমপিকে হুশিয়ার হয়ে যেতে বলেন আগামীতে আর ২০০১ সাল আসবে না আর বঙ্গবন্ধু’র সোনার বাংলাদেশে এই জেলাতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করবো। ২০০১ সাল থেকে আমরা দলীয় কর্ম সূচি ও মৃত নেতাকর্মীর জানাজা পর্যন্ত পরতে দেওয়া হয়নি।কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে খাগড়াছড়ি সদর খাগড়াপুরে শত শত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আহত করেছেন। আজ আপনি শান্তিতে মা, ভাই এর জানাজা ও দলীয় কর্মসুচিতে অংশ গ্রহন করছেন। তা এক মাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের মানবতার কারণে। বিএনপির জম্মতো অন্ত্র দিয়ে, আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জম্ম হয়েছে বাংলা মানুষে অধিকার আদায় করার জন্য, সে জন্য বলে আওয়ামীলীগ হচ্ছে জনগণের দল। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লংঘনকারী হলো জিয়া ও তার দল। জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল, খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিল। শুধু তাই নয়, ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজারো সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল। আর তার তৈরি করা দল বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত হরতাল-অবরোধের নামে ২০১৩-১৪-১৫ সালে কয়েক শ’ নিরীহ মানুষকে পেট্রলবোমায় পুড়িয়ে মেরেছিল।জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্র ও সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে তা ভঙ্গ করে বঙ্গবন্ধু হত্যায় কুশীলবের ভূমিকা নিয়েছেন। সংবিধান লংঘন করেছেন। সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাশ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছেন।
যারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করেছিল ও সরকারি চাকরি দিয়েছিল তারা এখনো রাজনীতিতে রয়েছে। তারা দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান চায় এবং বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়।
আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ির সহ-সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়–য়া, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমা, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনা আক্তার,বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি বিউটি ত্রিপুরা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত রায় দাশ. যুবলীগ কেএম ইসমাইল হোসেন, ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।