logo
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে হত্যা করে পিরোজপুরে আত্মগোপন,র‌্যাবের হাতে ধরা
সংবাদ প্রকাশিত:
স্ত্রী হত্যা

চট্টগ্রামের ইপিজেট এলাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা পর ফিরোজপুরে আত্মগোপনে থাকা স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন দক্ষিণ রাজপাশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব-৮ এর একটি টিম। এর আগের দিন ইপিজেডের একটি ভাড়া বাসা থেকে আলী আজগরের স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। সে সময় থেকেই পলাতক ছিল আজগর।গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার।

তিনি বলেন, গত ২৬ আগস্ট চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই তার স্বামী আলী আজগর নিখোঁজ ছিলো। তার ৩ সন্তানদের বড় সন্তানের কথাবার্তায় প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত হয় এটি একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। এ ঘটনায় শিরিনের মা বাদী হয়ে আলী আজগরকে আসামি করে একটি মামলাও দায়ের করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবছার বলেন, আলী আজগর আকন্দ গ্রেপ্তার এড়াতে হত্যাকাণ্ডের পর পরই চট্টগ্রাম হতে পালিয়ে পিরোজপুর আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরধারীর মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত আসামি বর্তমানে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন দক্ষিণ রাজপাশা এলাকায় জনৈক এসকেন্দার এর বাড়িতে অবস্থান করছে। এর ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলী আজগর হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে প্রায়ই তাদের ঝগড়া-বিবাদ হতো। সেদিনও ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে স্ত্রী শিরিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

প্রসঙ্গত, নিহত শিরিনা আক্তার (৩৫) ৩ সন্তানের জননী। শিরিনের মরদেহ উদ্ধারের পর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে তিন সন্তানের মধ্যে বড় জন যার বয়স ৭-৮ বছর সে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে তার মাকে একটি পাটিয়ে শোয়ানোর চেষ্টা করতে দেখেছিলো সকালে ওই পাটিতে শোয়ানো অবস্থাতেই তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শিরিনা আক্তারকে তার স্বামী আলী আজগরই হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।