একসময় চট্টগ্রামে জামায়াত শিবিরের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চকবাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া ছাত্রদল-যুবদল। পাশাপাশি আগের নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চকবাজারে পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া ছাত্রশিবির। সর্বশেষ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ছাত্রদল-যুবদলের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় শিবির। এ সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন প্রায় ২৪ জন। ঘটনার সময় কয়েকজন যুবককে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয়দের ভাষ্য, এলাকাটির বিভিন্ন টেম্পু স্ট্যান্ড ও ভাসমান দোকান থেকে আগে নিয়মিত চাঁদা তোলা হতো। স্বৈরাচার সরকারপন্থীদের প্রস্থান এবং বর্তমানে নতুন গ্রুপগুলোর উত্থানে আবারও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দখল-চাঁদাবাজির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এর জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও রয়েছে।
ছাত্রশিবিরের নেতা সিরাজী মানিক জানান, কয়েকদিন আগে যুবদলের কয়েকজন কর্মী চাঁদাবাজির চেষ্টা করলে মহসিন কলেজের শিবির নেতা আরিফ তাদের বাধা দেন এবং পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা আরিফকে তুলে থানায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে শিবিরের নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়াতে গেলে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে শিবিরের তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ২২ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বহিষ্কৃত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্বেই এ হামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা আগে ছাত্রদলের এক কর্মীকে মারধর করেছিলেন। সোমবার তাঁকে দেখতে পেয়ে ছাত্রদলের কর্মীরা তাকে ধরে থানায় সোপর্দ করেন। কিন্তু শিবির তাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় গেলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর তারা হামলা চালায়।’
চকবাজার থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ‘এক ছাত্রকে ছাত্রলীগ বলে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-যুবদল ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’