চট্টগ্রামের মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানায় দায়ের করা ৮ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে। তাবে তাকে কারাগারে উন্নত চিকিৎসা ও ডিভিশনের বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের তিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক মাহমুদ হক ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতের বিচারক মোস্তাকিম তাসিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৮টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য পৃথক আবেদনের শুনানি হয়। এতে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন এবং তার আইনজীবীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর আদালত তার পক্ষে ডিভিশনের আবেদন গ্রহণ করে কারাবিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান চৌধুরী (ফারুক) জানান, জোরারগঞ্জ থানার ৪টি মামলায় চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক মাহমুদ হক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এবং পরে মীরসরাই থানার ৪টি মামলায় চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতের বিচারক মোস্তাকিম তাসিন একইভাবে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
এর আগে, ১৪ জানুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে। পরদিন তাকে কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় একটি এবং চট্টগ্রামে ৮টি, মোট ৯টি মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ২৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম, তৃতীয়, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি দশম জাতীয় সংসদে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে তার ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল ওই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।